স্কিন বার্ন বলতে কি বুঝি আমরা
বার্ন বা পুড়ে যাওয়া এক ধরনের ইনজুরি যা রেডিয়েশন, বিদ্যুৎজনিত প্রবাহে, কেমিক্যাল দ্রব্যাদির সংস্পর্শে অথবা আগুন বা অতিরিক্ত তাপজনিত কারণে ত্বক পুড়ে গেলে হয়।
৪ র্থ ডিগ্রি বার্ন বলেও একটি বিষয় আছে তা হলো পুড়ে যাওয়ায় একজনের মাংসপেশি ও হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ভিনেগার প্রয়োগ :
পোড়ায় চিকিৎসায় ভিনেগার চমৎকার কাজ করে। ভিনেগার ফোলা ও ব্যথা কমায় এবং জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। সমপরিমাণ পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে, তাতে ভাঁজ করা কাপড় ভিজিয়ে জলিপট্টির মতো বারবার লাগাতে হয়। বুকে বা পিঠে কোথাও পুড়ে গেলে একটা সুতি কাপড়ের টি-শার্ট ওই ভিনেগারের পানিতে ভিজিয়ে পরিধান করলে জ্বালাপোড়া কমে গিয়ে অনেকটা আরামপাওয়া যায় । যেকোনো ধরনের ভিনেগার আগুনে বা গরম পানিতে পোড়ায় ব্যবহার করা যায়।
দিতে পারেন টি-ব্যাগও
টি-ব্যাগ (দুই-তিনটি) ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে পোড়া জায়গার ওপর গজ দিয়ে আটকে রাখলে ভালো কাজে করে। চা পাতার ট্যানিক এসিড পোড়া স্থান থেকে দ্রুত তাপ টেনে নিয়ে জ্বালাপোড়া ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। টি-ব্যাগ শুকিয়ে এলে তার ওপর এবং পোড়ার কিনারে সামান্য ঠান্ডা পানি দিয়ে ভেজাতে হবে। পায়ের পাতায় পুড়লে সে স্থানের ওপর টি-ব্যাগ বসিয়ে হাটা-চলা করা সহজ হয।
দইয়ের প্রলেপ :
পোড়া উপশম এবং ওই স্থান ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পোড়া স্থানের ওপর ঠান্ডা দুই মেখে 15-20 মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হয়। ব্যথা ও ফোলা কমাতে দইয়ের প্রলেপ বারবার লাগানো যায়। সাধারণ টক দই এ চিকিৎসায় ভালো কাজ করে। বেশি পোড়ায় দই লাগাবেন না। এ চিকিৎসা কেবল সামান্য পোড়ার ক্ষেত্রে।
- 2Shares
2